শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
20 C
Dhaka
Homeবাংলাদেশবন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২

বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২

প্রকাশ: আগস্ট ২৯, ২০২৪ ৪:৪৯

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ জেয়ায় ৫২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। তবে সিলেট জেলা থেকে প্রাপ্ত আজকের তথ্য মোতাবেক বন্যার পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের বন্যায় ৬৮টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৪৯২টি। ১১ জেলায় মোট ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে; ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন।মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলমান বন্যায় মারা গেছে এখন পর্যন্ত ৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ-৩৯, নারী-৬ ও শিশু ৭। জেলা ভিত্তিক মারা গেছেন কুমিল্লা-১৪, ফেনী- ১৭, চট্টগ্রাম-৬, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, লক্ষ্মীপুর-১ ও কক্সবাজার ৩ জন ও মৌলভীবাজার ১ জন। এখনো মৌলভী বাজারে নিখোঁজ রয়েছের একজন।

জানা গেছে, চলমান বন্যায় পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩ হাজার ৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৫ লাখ ২ হাজার ৫০১ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ৩৬ হাজার ৪৪৮টি গবাদি পশু আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দানের জন্য মোট ৫৯৫টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

এদিকে ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে ছাগলনাইয়া পৌর শহর, মহামায়া ইউনিয়নে। ফলে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকেই। তবে নিম্নাঞ্চল ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত ঘোপাল, শুভপুর, রাধানগর, পাঠাননগরে বন্যার পানি ধীরগতিতে নামছে।

ছাগলনাইয়া উপজেলার উঁচু জায়গায় অবস্থিত বন্যার পানি নেমে যাওয়াতে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে রাধানগর ও শুভপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের সড়ক ও বাড়ি এখনো পানিবন্দি। এদিকে ঢাকা চট্টগ্রামের পুরোনো সড়ক ফেনীর রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বড় রাস্তা থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলের রাস্তা পর্যন্ত বন্যার পানিতে অনেক দিন ধরে ডুবে থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে পানি অনেকটা নেমে গেছে। তবে সরকারি ত্রাণ দেওয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত প্রয়োজন থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর