আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে এই ঘটনা ঘটে। রাত সোয়া ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলা ও ভাঙচুর চলছিল।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাস টার্মিনালে গেলে পরিবহণ শ্রমিকদের হামলায় ২৫ জন আহত হয়। তবে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পরিবহণ শ্রমিক নেতা আরজু মৃধা বলেন, কলেজ বন্ধের দিনও হাফভাড়া দেওয়া নিয়ে বরিশাল-মুলাদী রুটের এক শিক্ষার্থীর সাথে বাস শ্রমিকের বিরোধ হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিএম কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী এসে নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করে। এ সময় সেখানে থাকা ১৫/২০ জন শ্রমিককে বেপরোয়া মারধর করে গুরুতর আহত করে তারা।
ঘটনাস্থলে থাকা বিএম কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, হাফভাড়া আমাদের অধিকার। আজ মুলাদী থেকে বরিশাল নগরীতে আসার পথে এক শিক্ষার্থী হাফভাড়া দিতে চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বাস শ্রমিকরা। খবর পেয়ে আমরা (শিক্ষার্থীরা) নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে শ্রমিকদের বিচারের দাবি জানাই। এ সময় আমাদের ওপর বাস শ্রমিকরা হামলা চালায়। এতে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।


