বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউর রহমান মন্টু (৫৯), জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাশেম শিপন (৬০), জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন (৫৩), ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর কহিনুর বেগম (৬৩) এবং ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আসমা আজাদ (৫২)।
বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের আলতাফ মাহমুদ হাওলাদার বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি ও মারপিটের মামলা করেন। ওই মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ৩ আগস্ট মামলার বাদী স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা মুক্ষাইট মোড়ে তার গতিরোধ করে মারধর করেন, চাঁদা দাবি করেন ও স্ত্রীর সম্মানহানি করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাসেলুর রহমান বলেন, বাগেরহাট সদর থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় তিন নারী ও দুই পুরুষ কাউন্সিলকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।