রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫
রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫
26 C
Dhaka
Homeবিনোদননামিয়া নৃত্যশিল্পী থেকে,যেভাবে হয়ে উঠলেন জেমসের জীবনসঙ্গী

নামিয়া নৃত্যশিল্পী থেকে,যেভাবে হয়ে উঠলেন জেমসের জীবনসঙ্গী

প্রকাশ: অক্টোবর ২৪, ২০২৫ ৮:৪৬

ব্যান্ড তারকা নগর বাউল মাহফুজ আনাম জেমস প্রকাশ করলেন তার তৃতীয় বিয়ের খবর। সেই সঙ্গে এই কিংবদন্তি গায়ক জানিয়েছেন ৬১ বছর বয়সে বাবার হওয়ার খবরও। এই দুটি ঘটনাই দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হয়ে উঠেছে আলোচনার বিষয়।২০২৩ সালে নগর বাউলের আমেরিকা সফরই এই প্রেমের সূচনা করে। লস অ্যাঞ্জেলেসে এক কনসার্টের সময় জেমসের সঙ্গে পরিচয় হয় নামিয়া আমিনের। এই পরিচয়ই ধীরে ধীরে গড়ায় ঘনিষ্ঠতায় এবং শেষ পর্যন্ত পরিণয়ে। আমেরিকা ট্যুর শেষে জেমস দেশে ফিরে এলেও, দুজনের সম্পর্ক থেমে থাকেনি। মনের টানে নামিয়াও ছুটে আসেন বাংলাদেশে। এরপর ২০২৪ সালের ১২ জুন তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই তারা বসবাস করছেন জেমসের বনানীর বাসায়।

বিয়ের মাত্র এক বছরের মধ্যেই তাদের দাম্পত্য জীবন পূর্ণতা পায়। ২০২৫ সালের ৮ জুন, স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে নিউইয়র্কের হান্টিংটন হাসপাতালে নামিয়া আনাম জন্ম দেন তাদের প্রথম পুত্রসন্তানের। সদ্যোজাত শিশুটির নাম রাখা হয়েছে জিবরান আনাম। এই সুখবরে জেমসের ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা যেমন আনন্দিত, তেমনি এই পরিবর্তন জেমসের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন তার কাছের মানুষেরা।

নামিয়া আনাম মূলত একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে আমেরিকায় খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার বাবা-মা নুরুল আমিন ও নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে বেড়ে ওঠা নামিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সংগীততারকার এই সংসার শুরু হয়েছিল দূর দেশের পরিচয়ে, কিন্তু এখন তা পূর্ণতা পেয়েছে একটি সন্তানের মধুর উপস্থিতিতে।

এটি জেমসের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি চিত্রনায়িকা রথি এবং বেনজীর সাজ্জাদের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। প্রথম স্ত্রী রথির ঘরে জেমসের দানিশ ও জান্নাত নামে এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন নিজ নিজ পেশায় ব্যস্ত। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীর তাদের কন্যা জাহানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০১৪ সালে বেনজীরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত এবং জেমসের বাংলাদেশ ও তার সংগীতকে আঁকড়ে ধরে থাকার ইচ্ছাই তাদের বিচ্ছেদের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের পৃথক জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এতকিছুর পর এই বয়সে পুত্রসন্তান লাভ জেমসের জীবনে একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তার কাছের বন্ধু ও স্বজনরা। নবজাতকের বাবা হওয়ার অনুভূতি ও দায়িত্ব তার দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃষ্টিশীলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

নতুন এই জীবন নিয়ে জেমস নিজেই বলেন, আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যতদিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে। সবাই আমাকে প্রার্থনায় রাখবেন।

জেমসের এই নতুন জীবনযাত্রা এবং সদ্যোজাত পুত্রসন্তান নিঃসন্দেহে তার জন্য নিয়ে এসেছে গভীর তৃপ্তি ও নতুন উদ্দীপনা। ভক্তদের আশা, এই পরিবর্তন তার সৃষ্টিশীলতায় যোগ করবে নতুন মাত্রা এবং বাংলা সংগীতাঙ্গন পাবে আরও অনেক গান, যা জেমসের জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের মতোই সমৃদ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী হবে।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর