মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই উৎসবের ৭৭তম আসর। এবারের আসরে নিজ উদ্যোগে গিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। কোনো ছবি নিয়ে নয়, বরং বিশ্ব চলচ্চিত্রের এই উৎসবে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য গিয়েছেন। ফিরবেন অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণা নিয়ে। বুধবার দুপুরে ভাবনার সঙ্গে আলাপনে জানালেন এমনটাই।
ভাবনা বললেন, এটা আমার কাছে এক আশ্চর্য ভালো লাগার বিষয়। আমি সত্যিই অভিভূত। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। এখনো মনে হচ্ছে আমি স্বপ্নেই আছি। আর যদি কোনো ছবির সঙ্গে আসতে পারতাম কিংবা আমার কোনো ছবি আসত সেটা ভালো লাগত। অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা দারুণ একটা ব্যাপার। আমি এখন কানের একটি থিয়েটারে, এখান থেকেই আপনার সঙ্গে কথা বলছি।
তিন বছর আগে আঁ সার্তে রিগায় প্রতিযোগিতা করেছিল বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। কানের ফিল্মবাজার ‘মার্শে দ্যু ফিল্ম’-এ সারা দুনিয়ার চলচ্চিত্র জগতের মানুষ নিজেদের প্রজেক্ট নিয়ে হাজির হয়। বিগত কয়েক বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সেখানে অংশ নিয়েছেন। এবার সে রকম কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ভাবনার আকাক্সক্ষার কথা শোনা গেল, যদি নিজে চলচ্চিত্র নিয়ে যেতে পারতেন তবে তার ভালো লাগত, এত বড় প্রাপ্তির মধ্যে এটাই আফসোস তার।
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল জানিয়ে বললেন, আমি যখন শোবিজে পা দিয়েছি, তখন থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল একদিন কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাব। সেই স্বপ্নটা এখন আর অপূর্ণ নেই। এটাই ভালো লাগছে। আমি নিজেই আবেদন করেছিলাম। কান চলচ্চিত্র উৎসব কর্র্তৃপক্ষ আমার আবেদন গ্রহণ করেছে। তারা আমাকে এই চলচ্চিত্র উৎসবে যোগদানের জন্য যোগ্য মনে করেছে। তাই দক্ষিণ এশিয়ার চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এখানে।
এই চলচ্চিত্র উৎসব থেকে যখন আমি ঢাকায় চলে আসব, তখন আমি অবশ্যই অনেক বেশি অনুপ্রেরণা নিয়ে আসব, অনেক নতুন কাজ করার জন্য যে মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় সেই প্রেরণা নিয়ে আসব, যা ক্যারিয়ারের জন্য সমৃদ্ধ হবে বলে আমার ধারণা।
এই উৎসবে ভাবনার সামনে একটি নতুন পৃথিবী উন্মুক্ত হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র জগতের মানুষেরা বিচরণ করছেন, কথা বলছেন হাঁটছেন আর তাদের সঙ্গে রয়েছেন ভাবনা। এটা ভাবনাকে বেশ বিমোহিত করছে। তামাম দুনিয়ার শিল্পীদের, নির্মাতাদের দেখছি, নতুন করে আবিষ্কার করছি। আমার মনের অভিনয় সত্তাটা আরও বাড়ছে।