রোজ সকালে খালি পেটে এক টুকরো আমলকি। ব্যস, তাতেই নীরোগ হবে শরীর। শতাব্দীপ্রাচীন এই আয়ুর্বেদিক টোটকার গুণ অনেক! এখন অনেকেই খালি পেটে আমলকির রস খান। সর্দিকাশি তো দূরে থাকেই, এমনকি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায় আমলকি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, হজমশক্তি বাড়াতে, ত্বকের জৌলুস ফেরাতেও এই ফলের কার্যকারিতা কম নয়।
তবে উপকারী মানেই ফল বা সব্জি প্রতি দিন যত ইচ্ছা খাওয়া চলে না। তার একটা পরিমাপ থাকা প্রয়োজন। চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত বেশ কয়েকটি আমলকি খেয়ে ফেলা ঠিক নয়। বরং প্রতি দিনের ডায়েটে যে কোনও খাবার যোগ করতে হলে, কতটা খেতে হবে সে সম্পর্কে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া দরকার।
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আমলকি। সেই কারণে রক্তচাপ কমে যাওয়ার সমস্যায় যিনি ভুগছেন তাঁর জন্য নিয়মিত বেশি পরিমাণে আমলকি খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
২. আমলকিতে প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার থাকায় ফলটি সুগারের রোগীদের জন্য ভাল। কিন্তু যাঁদের আচমকা সুগার নেমে যায় বা সুগার কমের দিকে থাকে, তাঁদের জন্য নিয়মিত আমলকি খাওয়া ঠিক নয়।
৩. হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রেও আমলকি নিয়মিত খাওয়া চলে না। যদি খেতে হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি সর্দিকাশি সারাতে কাজে লাগে। ভিটামিন সি এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের উপস্থিতির ফলে যাঁদের অম্বলের সমস্যা খুব বেশি, নিয়মিত বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে তাঁদের সেই সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. আমলকিতে ট্যানিন থাকে। ফাইবার থাকা সত্ত্বেও ফলটি বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত খেলে অসুবিধা হবে, না হলে নয়।