কিডনিতে কোনো সমস্যা হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। একটু সচেতনতা ও যত্ন নিলেই কিডনির রোগব্যাধি দূর করা সম্ভব। যেসব লক্ষণ দেখলে আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেনঃ
১. ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হলে
২. প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ হলে
৩. ছয় বছরের বেশি বয়সেও বিছানায় প্রস্রাব করলে
৪. তলপেটে ব্যথা। ঘন ঘন বমি এবং কোমরে ব্যথা অনুভব হলে
৫. পেট ফুলে যাওয়া, খিদে কম এবং প্রচণ্ড দুর্বলতা লাগলে
৬. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলেও শিশুদের কিডনিতে সমস্যা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। ডায়াপার থেকে ও প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় ছোটরা প্রস্রাব চেপে থাকে। দিনের পর দিন এমন হলে মূত্রথলিতে চাপ পড়ে। তার থেকে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেয়েদের প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ বেশি হয়। যদি বারবার মূত্রনালির সংক্রমণ হয়, তার থেকেও কিডনির রোগ হতে পারে।
চিকিৎসকরা জানান শিশুদের পর্যাপ্ত জল খাওয়াতে হবে। জলের অভাব হলে কিডনিতে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। শিশু্রা যাতে প্রস্রাব চেপে না রাখে অভিভাবকদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্কুলে যাচ্ছে যে শিশুরা, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশি। তেমন হলে শিক্ষক বা শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে হবে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনোভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। এর জন্য শিশুর খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতে হবে। বাইরের খাবার, ভাজাভুজি বন্ধ করতে হবে। ঘরে তৈরি হালকা খাবারই খাওয়াতে হবে শিশুকে। পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চা করাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই কোনো রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধ শিশুকে খাওয়ানো যাবে না।