মাথা ব্যথা হতে পারে নানা কারণেই। মানসিক চাপ, প্রবল ধকল, রোদে বেশি সময় বাইরে থাকা এগুলো মাথা ব্যথার পরিচিত কারণ। তবে মাথায় যন্ত্রণা হওয়ার পাশাপাশি যদি বমি হয়, ভুলে যাওয়া কিংবা হঠাৎ ব্ল্যাক আউটের মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে সতর্ক হতে হবে। কেননা এসব উপসর্গ হতে পারে মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণ।
ব্রেন টিউমারের কথা শুনলেই মনে আতঙ্ক জন্মায়। তবে সঠিক সময়ে এই রোগ ধরা পড়লে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে টিউমার থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন নয়। উপসর্গ অবহেলা করায় এই টিউমার যদি ক্যানসারে পরিণত হয়ে যায় তবে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
কোন লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝবেন এটি সাধারণ মাথা ব্যথা নয়, বরং ব্রেন টিউমারের ইঙ্গিত দিচ্ছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মাথায় তীব্র যন্ত্রণা
এই রোগের অন্যতম উপসর্গ হলো মাথায় তীব্র যন্ত্রণা। ব্রেন টিউমার হলে মাথা ব্যথার ধরনটা একটু আলাদা হয়। এক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রোগী তীব্র মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন।
ভুলে যাওয়া
ব্রেন টিউমার হলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার কথাও কিছুতেই মনে পড়তে চায় না।
শরীর কাঁপা
জ্বর না থাকার পরও শরীরে কাঁপন সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণ পর তা আবার আপনাআপনি সেরে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে থাকে বমি বমি ভাব, খাবারে অনীহা।
দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে তার ওপরেও কিছু কিছু লক্ষণ নির্ভর করে। এই যেমন সেরিব্রামের টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
অলসতা
এই রোগ হলে সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঘুম পায়। কাজ করতে আলস্য আসে।
শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা
ব্রেন টিউমারের একটি লক্ষণ হলো হাত-পা নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হওয়া। রোগীর হাঁটাচলার সময় ভারসাম্য বজায় থাকে না। ভাবনা ও বলার মধ্যে তালমিলের অভাব হতে পারে। হাত দিয়ে কোনো জিনিস শক্ত করে ধরতেও সমস্যা হতে পারে।
ব্রেন টিউমার নিয়ে অতিরিক্ত ভয়ের কিছু নেই। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পুষ্টিকর খাদ্যাভাস আর নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে এই রোগ ঠেকানো যায়। ব্রেন টিউমার থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। রেডিয়েশনের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া উপরের উপসর্গগুলি দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।