বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর আজ শত্রু চিহ্নিত করার দিন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। দেশে-বিদেশে, প্রশাসনে তারা চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজধানী ঢাকার রাজপথে আজ লাখো জনতার মিছিল, দেশের পক্ষের শক্তিকে ৭ নভেম্বরের অন্তর্নিহিত শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল এটি। লাখো জনতার আজকের এই মিছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত এবং অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও হাজারো শহীদের স্বপ্নে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ী মিছিল। এটি রাজধানীর রাজপথে কারোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার মিছিল নয় বরং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার আদায়ের মিছিল, নিজের অধিকার রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য প্রতিটি নাগরিকের সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সক্ষমতা অর্জন জরুরি। স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নির্বাচিত হতে ইচ্ছুক জনপ্রতিনিধিদের জনগণের ভোটের প্রতি মুখাপেক্ষী না করা পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। দেশে-বিদেশে প্রশাসনে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে তারা।পরে বর্ণাঢ্য রেলির উদ্বোধন ঘোষণা করেন তারেক রহমান। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গিয়ে এই র্যালি সমাপ্ত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বরের এই দিনে ১৯৭৫ সালে দেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক জনতা আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের পরে রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিল আধিপত্যবাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন করেন।