রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে দেখা যায়, মাটিতে বিছানো চাদরে স্যালাইন হাতে শুয়ে আছেন তারেক রহমান। দুর্বল কণ্ঠে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে তার। অনশনের জায়গাজুড়ে
ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ—কেউ সংহতি জানাতে, কেউবা কৌতূহল থেকে দেখতে।
নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আছেন কিনা জানতে চাইলে খুবই ধীরে তারেক রহমান বলেন, অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কীভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।
ইসি থেকে আর কেউ যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ আর যোগাযোগ করেনি। সেদিন (বৃহস্পতিবারে) যে একজন উপসচিব এসেছিল, তিনি যে গিয়েছেন আর কেউ এরপরে আসেনি। কেউ যোগাযোগ করেনি। কোনও চিঠি বা কিছুই দেয়নি।
শারীরিক অবস্থা বিষয়ে তিনি বলেন, শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও তিনি অনশন চালিয়ে যেতে চান।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। রোববার দুপুরে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি আমাকে বলেন, ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো… ইউ গট মাই আনসার।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে নির্বাচন কমিশন তিনটি দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’। সেই দিন বিকেল থেকেই নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তিনি।


