দুইদিন বিরতির পর আবারও দেশব্যাপী বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নবম দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। রোববার (২৫ নভেম্বর) ভোর ৬টায় শুরু হয় এ অবরোধ। চলবে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে এই অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অবরোধে রোববার সকালে রাজধানীর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে। চালকেরা বলছেন, অবরোধের দিনে অফিসের সময় ছাড়া যাত্রীও কিছুটা কম। তবে, আগের কয়েকদিনের চেয়ে সাধারণের চলাচল বেড়েছে। যাত্রী ও পথচারীরা প্রয়োজনের তাগিদে নামছেন সড়কে।
এদিকে, নাশকতা-বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নগরীর প্রধান প্রধান পয়েন্টে রয়েছে তাঁদের অবস্থান। চলছে টহল।
অবরোধের আগে শনিবার রাতে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাত ১১টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় পদ্মা লাইনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত পৌনে ১১টার দিকে সায়েদাবাদে গুলিস্তান-ডেমরা পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সাড়ে ১০ টার দিকে আগারগাঁওয়ের ভুইয়া পরিবহনের একটি বাসেও আগুন দেওয়া হয়। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি এবং ‘অবৈধ’ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর উদ্যোগে আগামী রোববার ৩ ডিসেম্বর ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালিত হবে।
হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হলে এর প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে কয়েক দফায় সড়ক, রেল ও নৌপথ মোট ১৬ দিন অবরোধ এবং চারদিন হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।