আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি এমপি, প্রভাব বিস্তার করব, আমার একজন থাকবে, তাঁকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে, এটা হতে পারে না। কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এতে উন্মুক্ত নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ইউনিয়ন পর্যায়েও নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এবার উন্মুক্ত করে দিয়ে এটা তাঁরা দেখতে চান, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, স্বচ্ছ হয়। সংগঠন যখন আছে, সমস্যাও থাকবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল। বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। তাঁরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাট বেঁধে নামতে চান। জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে তাঁরা নজর দিয়েছেন। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। যাঁর যেমন খুশি যখন-তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখবেন, সেটার দায়িত্ব দল গ্রহণ করবে না। একটা-দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত হানে। এ ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় দেয়াল আছে, তা ভেঙে দিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই নির্বাচন উন্মুক্ত করা হয়েছে, সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যাঁরা করতে চান, করুন। তাঁরা নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চান উপজেলায়। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। নির্বাচন শেষে, নির্বাচন আগের আশঙ্কা-আতঙ্ক ছিল, তা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮১টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ৩২টি সংস্থা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাছান মাহমুদ আলী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।