বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
20 C
Dhaka
Homeবিশ্বগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাম্পের বার্তা

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাম্পের বার্তা

আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৫ ৪:৫১
প্রকাশ: জানুয়ারি ২১, ২০২৫ ২:২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার পরিস্থিতি নিয়ে তার অভিমত প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। এরপর হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজার যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, গাজার যুদ্ধবিরতি কতদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী নন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই। ওটা আমাদের যুদ্ধ নয়, তাদের যুদ্ধ।’ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গাজার ভবিষ্যৎ অবকাঠামো নিয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি

গাজা উপত্যকা নিয়ে ট্রাম্প তার পরিকল্পনার দিকেও ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হলেও এটি পুনর্গঠনের জন্য ‘অসাধারণ’ একটি জায়গা।

তিনি বলেন, ‘গাজা সমুদ্রের কাছাকাছি একটি অসাধারণ জায়গা। সেখানে আবহাওয়া চমৎকার। আমার মতে, জায়গাটিকে নিয়ে খুব সুন্দর কিছু কাজ করা সম্ভব।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি গাজা উপত্যকার একটি ছবি দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে, সেখানে অসংখ্যবার বিস্ফোরণ ঘটেছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে এটি অসামান্য পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাবে।’

ইসরায়েলকে ট্রাম্পের সমর্থন ও ফিলিস্তিনিদের অবস্থান

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজার বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে। ট্রাম্প মনে করেন, হামাস এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল এই যুদ্ধ জিতছে এবং তারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখবে।’ এদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই ফিলিস্তিনিদের ওপর কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের সময়ে পশ্চিম তীরের কট্টর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছেন।

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের প্রক্রিয়া

রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষ জিম্মি ও বন্দি বিনিময় শুরু করেছে।

যদিও এই চুক্তি বাইডেন প্রশাসনের দেওয়া রূপরেখার ভিত্তিতে আলোচনা শুরু হয়েছিল, ট্রাম্প-বাইডেনের যৌথ কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়িত হয়। তবে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ইসরায়েলকে সব সময়ের মতোই সম্পূর্ণ সমর্থন দেবেন।

ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে গাজার পুনর্গঠন ও ইসরায়েলের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি আরও জোরালোভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। তবে গাজার যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর