বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মামলার আদেশের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আছাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বলেন, মানহানির এই মামলাটি হয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করার উদ্দেশে। মামলার বাদী হয়রানি করার জন্যই আদালতকে ব্যবহার করেছিলেন।
এদিকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া পাঁচটি মামলার কার্যক্রমও বাতিল করে দিয়েছেন। এই মামলাগুলো ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বিচারাধীন ছিল।
আদালত তার আদেশে বলেন, এই মামলাগুলো করে বাদী আদালতের সময় নষ্ট করেছেন। শুধু তাই নয়, এসব মামলা করা হয়েছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই। আর সে কারণেই এই পাঁচটি মামলা বাতিল করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা কেবল অর্থের জন্য রাজনীতি করেন, এখানে কোনো আদর্শের ব্যাপার নেই। তার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাসদের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম চুন্নু সেই বছরের ২১ জানুয়ারি ময়মনসিংহের আদালতে একটি মানহানি মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ওই মামলায় সমন জারি করলে ইউনূস মামলা দায়েরের চার বছর পর গত ১৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন নেন।