বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫
15 C
Dhaka
Homeআইন আদালতপ্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক প্রথম সাক্ষ্যি হিসাবে আদালতে যে বর্ণনা দিলেন 

প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক প্রথম সাক্ষ্যি হিসাবে আদালতে যে বর্ণনা দিলেন 

প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫ ৮:২০

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার দিন হাদিকে বহনকারী অটোরিকশার চালক মো. কামাল হোসেন (৪৬)। 

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটনম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, শহিদ শরিফ ওসমান হাদি মো. কামাল হোসেনের অটোরিকশায় করে মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাক্ষী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার বক্তব্য আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীর জবানবন্দি ১৬৪ ধারামতে লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেন জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দিন দুজন যাত্রী নিয়ে তিনি মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার সময় পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে পৌঁছানোর পর তাঁর রিকশার পাশ দিয়ে একটি মোটরসাইকেল যায়। দুজন যাত্রী ছিল তাতে। একেবারে পাশ থেকে তাঁর এক যাত্রীকে গুলি করলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন ধরাধরি করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন, গুলি লাগা যাত্রীর নাম ওসমান হাদি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে একটি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে মাথায় গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই তিন দিন পর ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করে ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সালসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা, অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। হাদি মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তবে, ফয়সাল করিমের কোনও খোঁজ এখনও বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর