রোববার (১১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাইকোর্টে কোনো হস্তক্ষেপ হবে, এটা আমি চিন্তাও করি না। সিন্ডিকেট কেউ করে থাকলে আমাদের জানাবেন। জানানো মাত্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যার কোনো সিন্ডিকেট করবেন, এটা তার শত্রুও বিশ্বাস করবে না।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি প্রধান বিচারপতি অতি দ্রুত দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এ জায়গাটিকে উন্নত করবেন।
অনেক ডেপুটি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন, অনেক রুমে তালা লাগানো আছে, এক্ষেত্রে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করব।
বিচারাঙ্গনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটাই হলো অনিয়মের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। আশা করি মানুষের সেই আশার আলোয় প্রভাবিত হয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার।
হাইকোর্ট বিভাগ ঢেলে সাজানো প্রয়োজন মনে করেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অবশ্যই মনে করি। যে কারণে জনরোষ তৈরি হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগে কেন হবে না।
প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, তিনি অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম ক্লাস। তিনি পিএইচডি করেছেন। উনার লেখাপড়া, শিক্ষা-দীক্ষা, চলনে-বলনে কোনো কিছু কোট করার মতো পাবেন না। আপনারা সাংবাদিক। আপনারা জনগণের ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনার (নতুন প্রধান বিচারপতি) নানা ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম বিচারপতি, বিচারপতি মো. ইব্রাহিম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ছিলেন। তার মা ছিলেন ভাষা সৈনিক, ভাষা কন্যা অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ। তিনি জাতীয় অধ্যাপকও ছিলেন।