সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৫
সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৫
27 C
Dhaka
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্র ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে পাকিস্তানকে 

যুক্তরাষ্ট্র ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে পাকিস্তানকে 

প্রকাশ: অক্টোবর ৮, ২০২৫ ৯:১৪

পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে আকাশ থেকে আকাশে হামলায় ব্যবহৃত অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন কর্তৃক প্রকাশিত সরকারি নথি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে এই উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে। পাকিস্তানের সামা টিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সরকারি নথি অনুযায়ী, নতুন এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তানকে মাঝারি পাল্লার এআইএম-১২০ডি-৩  উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে। এটি এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ। ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের এই ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি পেয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান রে-থিওন কোম্পানি।

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিভাগ (পূর্বের প্রতিরক্ষা বিভাগ) জানিয়েছে, এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তান, তুর্কি এবং অন্যান্য মার্কিন মিত্র দেশের জন্যও এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করা হবে।

এআইএম-১২০ডি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রটি দৃষ্টিসীমার বাইরে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। এটি শত্রুপক্ষের বিমান ও আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্রকে আরও বেশি নির্ভুলভাবে শনাক্ত ও দূরপাল্লায় আঘাত হানতে সক্ষম।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এফ-১৬ বহরের আঘাত হানার ক্ষমতা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে ব্যবহৃত এআইএম-১২০সি-৫ সংস্করণের বদলে এটি ব্যবহৃত হবে।

পাকিস্তানের বিশ্লেষকরা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে দেশটির সামরিক আধুনিকায়নের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটি পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে দৃষ্টিসীমার বাইরের লড়াইয়ে নির্ভুলভাবে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এবং পাল্লার দিক থেকে পরিষ্কার সুবিধা দেবে।

আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক করার লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে নতুন প্রজন্মের এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য লবিং চালিয়ে আসছিল।

গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকি ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়।

সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও কার্যকর সহযোগিতার পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান পূর্ব ও পশ্চিম, উভয় দিক থেকেই উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র কেনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতাও জোরদার করছে।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর