গতকাল মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ সংলাপ শুরু হয়।মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ইদানীং কিছু ঘটনা নিয়ে অপতথ্য ছড়ানোর প্রয়াস আমরা দেখছি। অনেকাংশে দেখছি ভারতের গণমাধ্যম খুব আক্রমণাত্মকভাবে এ কাজগুলো করছে। এটার জন্য জাতীয়ভাবে ঐক্য তৈরি করে আমাদের বলতে হবে, তোমরা আসো, দেখো কী হচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের জাতীয় ঐক্যও ধরে রাখা। আমাদের জাতীয় ঐক্য এখানে খুব জরুরি। কারণ, আমাদের দেশ নিয়ে এক ধরনের অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এখানে আমাদের দেশের সুনামের একটা প্রশ্ন আছে। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এ অপতথ্যের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযানে নামতে হবে।এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকেও ড. ইউনূস জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন।
ওইদিনের বৈঠকের পর প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্র-জনতা, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান সবার প্রতি’ জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি আরও বলেন, মিটিংয়ের মূল মেসেজ হচ্ছে, আমাদের নিয়ে… একটা ক্যাম্পেইন হচ্ছে, অপপ্রচার হচ্ছে। সে বিষয়ে মিটিংয়ে বিএনপির তরফ থেকেও একটা ন্যাশনাল ইউনিটির কথা বলা হয়েছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উনিও এই ন্যাশনাল ইউনিটির কথা বলেছেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের একজন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য তৈরির জন্য সব রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় নেতা এবং ছাত্রদের নিয়ে পৃথক পৃথক বৈঠকের ডাক দিয়েছেন ড. ইউনূস। জাতির কমন ইন্টারেস্টের (অভিন্ন স্বার্থ) ইস্যুতে সবাইকে নিয়ে ঐক্য তৈরির এই পদক্ষেপ খুবই সময়োপযোগী এবং বিচক্ষণ একটি সিদ্ধান্ত। এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে, সেটা হয়তো সময় বলে দেবে। তবে উদ্যোগটা যে নেওয়ার তাগিদ অনুভব করেছে সরকার, এই চেষ্টাটার জন্য তারা বিশাল বড় ধন্যবাদ ডিজার্ভ করে।’