বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষীকুণ্ডা ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা (৬৫) ওই এলাকার মৃত আবুল মোল্লার ছেলে। তিনি লক্ষীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ছিলেন।
নিহতের ছেলে রাজিব মোল্লার অভিযোগ, জহুরুল মোল্লা তাদের কয়েকটি ইটভাটা দখল করে নিয়েছে। এ নিয়ে আগে একবার মারামারি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার বাবাও অনুতপ্ত ছিলেন। গতকাল সারারাত ধরে জহুরুল মোল্লা তাদের জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করেছে।
সকালে তার বাবা জহুরুল মোল্লার কাছে বিষয়টি জানতে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জহুরুল মোল্লা তার বাবা বিরু মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে বিরু মোল্লার চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিরু মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লা (৫৫) ওই এলাকার মৃত ইসলাম মোল্লার ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ হাসপাতালে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


