শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
28 C
Dhaka
Homeবিশ্বট্রাম্পের বিজয়ে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারে ন্যাটো

ট্রাম্পের বিজয়ে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারে ন্যাটো

আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২৪ ৪:৩১
প্রকাশ: নভেম্বর ৮, ২০২৪ ১১:২৭

সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ বিজয়ে জাতীয়তাবাদী আমেরিকানরা খুশি হলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের মাঝে। ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অভিবাসন নীতি ও যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এ নেতা। এবার ক্ষমতায় আসার আগেই ন্যাটোতে মার্কিন অংশীদারত্ব ও ইউরোপ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ফলে এবারের মেয়াদে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে সামরিক জোটটি, একই সঙ্গে কঠিন বার্তা যাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনের কাছেও।

গণমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্পের এই মেয়াদে ইউরোপীয় মার্কিন মিত্রদের একতা ধরে রাখার কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। এমনকি ন্যাটোর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা এবং নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মূল স্লোগান ছিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ অর্থাৎ আমেরিকার স্বার্থ সবার আগে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন এর মাধ্যমে সমকালীন সংকটের মধ্যে ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের পররাষ্ট্রনীতি একটি হোঁচট খেতে পারে।

ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, তিনি একদিনের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে ঠিক কীভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেননি ট্রাম্প। ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বজায় রাখবে তবে এই শর্ত দেওয়া হবে যাতে মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য কিয়েভের কর্মকর্তারা সম্মত হয়।

রিপাবলিকান এই নেতার বিজয়ে সবচেয়ে চিন্তিত ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। হয়তো ট্রাম্প ন্যাটো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিতে পারেন, যা প্রায় এক শতাব্দী ধরে চলা সামরিক জোটের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ডেকে আনবে। যদিও এটি বিতর্কের বিষয়, আদৌ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা। অনেকে মনে করছেন এমন হুমকির মাধ্যমে ট্রাম্প ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সামরিক ব্যয় আরও বাড়ানোর চাপ দিতে পারেন, যাতে প্রতিরক্ষা সুরক্ষা খাতে মার্কিন ব্যয় কমে আসে।

ইউক্রেনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারেও অঙ্গীকার দিয়ে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস ও হিজবুল্লাহর যুদ্ধ বন্ধ করার কথাও জানান। তবে কীভাবে এমনটা করা হবে তা বিস্তারিত জানাননি। যদিও তাকে হোয়াইট হাউসে থাকা ইসরায়েলের সেরা বন্ধু বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের সঙ্গে আরব নেতাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে যাদের সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ রয়েছে। এখন দেখার বিষয় ট্রাম্পের এমন সম্পর্কের বৈচিত্র্য মধ্যপ্রাচ্যকে শান্ত করে নাকি আরও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর