বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
22 C
Dhaka
Homeআইন আদালতরাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে আবেদন

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে আবেদন

আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৫ ৯:২৪
প্রকাশ: জানুয়ারি ৯, ২০২৫ ২:০৫

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন।

ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর আপিল বিভাগকে বলেন, এটির দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। কারণ, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের এটি ঠিক মত হয় না। পরে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের এ মামলা শুনানি করতে ১৬ জানুয়ারি আইটেম ১০ এ রাখতে বলেন। এর আগে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। সেই রায়ে বলা হয়,

১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।

২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।

৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর