আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় নরসিংদী পৌরসভার মোড়ে এনসিপির সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানকে শক্তিশালী করতে ও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করতে তারা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র আপনারা রুখে দেবেন। বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিতে আগামী ৩ আগস্ট আমরা শহীদ মিনারে জড়ো হব। সেখান থেকে নতুন বাংলাদেশের ইশতিহার ঘোষণা করা হবে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, ২৪ সালের ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। মানুষের মুক্তির দাবিতে সেই আন্দোলন পর্যায়ক্রমে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল। আমরা দেখেছি এক বছরে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। সংস্কার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। নতুন সংবিধানকে প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্টের রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণ করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়নি। আমরা কিছুই ভুলিনি। আমরা কোনো দাবি থেকে সরে আসিনি। আমরা সংঘটিত হচ্ছি। আমরা সংঘটিত হয়ে অপনাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।
নরসিংদীতে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, এই গণঅভ্যত্থানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশের দাবিতে এখনও আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে জড়ো হব। আমরা বিশ্বাস করি, নরসিংদীবাসী এলেই আমরা শহীদ মিনার থেকে আমাদের দাবি আদায় করতে পারব। নরসিংদী নারায়গঞ্জ ও গাজীপুরের মানুষ এলেই ঢাকা ভরে যাবে।
নরসিংদীর উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করতে চাই উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন,এখানে ভূমিদস্যু,সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রয়েছে। আমরা তাদের বিতাড়িত করব।
সমাবেশের আগে বিকেল সৌয়া ৫টার দিকে নরসিংদীর জেলাখানা মোড় থেকে এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা পদযাত্র শুরু করেন। পদযাত্রটি জেলাখানা মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থলে আসে। এর আগে দুপুরে নরসিংদী ক্লাবে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারর সঙ্গে মতবিনিময় করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এই সময় শহীদ প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণ দেন তারা। তারা শহীদ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনুভা, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়োরার তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসমিন মিতু, দেলোয়ার আকন্দ সৌরভ,সাইফুল ইসলাম, ইমতিয়াজ জাহান বেলাল, রোবাট হোসেন, আব্দুল্লা আল ফয়সাল উত্তরাঞ্চলের সংগঠক অ্যাডভোকেট শিরিন আক্তার শেলীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
