রোববার (৩১ আগস্ট) ভুটানের চ্যাংলিমিথান স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের আরও দুই গোল দিলেও হজম করতেও হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের জয়ে রানার্স আপ ট্রফি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের ২৯ সেকেন্ডে মামোনি চাকমার ক্রস থেকে হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন পূর্ণিমা মারমা। সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি ভারত। বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে ৯ মিনিটে ব্যবধান ১-১ করেন আনুশকা কুমারী।
৩৪ মিনিটে বাংলাদেশকে ফের এগিয়ে দেন আলপি আক্তার। পূর্ণিমার শট ভারতীয় গোলরক্ষক বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বলে সুরভী আকন্দ প্রীতির নেওয়া শট ভারতীয় এক ডিফেন্ডারে গায়ে লেগে চলে যায় পেছনে থাকা আলপির কাছে।
আলতো ছোঁয়ায় আলপি সহজেই খুঁজে নেন জাল। প্রথমার্ধজুড়ে দাপট বেশি ছিল ভারতের। তবে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ব্যবধান ৩-১ করেন সুরভী আকন্দ। অনেকে তখন ম্যাচের শেষ দেখলেও রোমাঞ্চ ছিল অনেক বাকি। ৬৫ মিনটে বাংলাদেশি ডিফেন্ডারের ভুলে ভারত আবার এগিয়ে যায়। ভারতের বাড়ানো এক লং বল বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। ভারতীয় ফরোয়ার্ড ডান প্রান্ত থেকে কোনাকুনি শটে গোল করেন।
বাংলাদেশের গোলরক্ষক বক্স থেকে বেরিয়ে আসছিলেন। তার মাথার উপর দিয়ে বল পোস্টে পাঠান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়। ম্যাচের ৮৮ মিনিটেও বাংলাদেশ আরেকটি দূর পাল্লার শটে গোল হজম করে। এবারও বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেঘলা পোস্ট থেকে সামনে ছিলেন। ভারতীয় ফুটবলার সেটা লক্ষ্য করেই গোল করেছেন।
তবে ৮৯ মিনিটে খেলা ৩-৩ সমতা আসলেও ইনজুরি সময়ের নাটকীয় গোলে বাংলাদেশ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়া প্রীতি ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন।


