যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের অর্থোপেডিক সার্জন কিম এল. স্টার্নস বলেন, আঙুল ফোটানোর সময় জয়েন্টের চারপাশের স্থান থেকে গ্যাস নির্গত হয়। এগুলো মূলত নাইট্রোজেনের ক্ষুদ্র বুদবুদ, যা ভেঙে ‘কটকট’ শব্দ তৈরি করে। তবে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নন, শব্দটি বুদবুদ তৈরি হওয়ার জন্য না নির্গত হওয়ার জন্য হয়।
স্টার্নস আরও জানান, সঠিকভাবে আঙুল ফোটালে তা বড় হয় না এবং আর্থ্রাইটিসও হয় না। তবে ভুলভাবে ফোটালে লিগামেন্টে আঘাত লাগতে পারে বা আঙুল স্থানচ্যুত হতে পারে। ফোটানোর সময় ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। আঙুল ফুলে গেলে বা বাঁকা দেখালে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
১৯৯৯ সালের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, আঙুল ফোটালে কবজি দুর্বল হয়। তবে পরবর্তী গবেষণায় এটি খারিজ হয়েছে। ২০১৭ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুল ফোটানো ও না ফোটানোর মধ্যে হাতের শক্তি বা স্থিতিশীলতায় তেমন পার্থক্য নেই। যদিও কার্টিলেজের পুরুত্বে সামান্য পার্থক্য ধরা পড়ে, যা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ইঙ্গিত দিতে পারে।
২০১১ সালের ‘ক্র্যাক ইয়ার’ গবেষণায় দেখা গেছে, কতবার বা কত বছর ধরে আঙুল ফোটানো হয়েছে, তার সঙ্গে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার সরাসরি যোগ নেই। তবে চিকিৎসকেরা সতর্ক করেন, খুব জোরে বা অস্বাভাবিকভাবে আঙুল টেনে ফোটানো উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুল ফোটানো ভালো বা খারাপ উভয়ই হতে পারে। আরাম পেতে বা অভ্যাস অনুসারে ফোটানো ঠিক, তবে ব্যথা, ফোলা বা নড়াচড়া সীমিত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।