শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
24 C
Dhaka
Homeশিক্ষামিরপুর সাইন্স কলেজে নবীনবরণ, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান

মিরপুর সাইন্স কলেজে নবীনবরণ, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান

প্রকাশ: ডিসেম্বর ৩, ২০২৩ ৮:০৬

মিরপুর সাইন্স কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী ২নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ভিজিটিং প্রফেসর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সিরাজুল ইসলাম শিশির।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম তোমাদের জন্য। বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করার জন্য পাকিস্তান থেকে সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছিলাম বাংলাদেশে। আর তোমাদের যুদ্ধ হচ্ছে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার যুদ্ধ, দেশকে গড়ে তোলার জন্য যুদ্ধ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে আমরা এগিয়ে যাব স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিরপুর সাইন্স কলেজের উপদেষ্টা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রথমেই যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেছে তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের শুধু জিপিএ ৫.০০ বা ভালো ফলাফল করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, প্রকৃত সফলতা হচ্ছে একটা ভালো প্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়া এবং একটা লক্ষ্যে পৌছে যাওয়া। এজন্য ১ম বর্ষ থেকেই সচেষ্ট থাকতে হবে। কারণ এই দুই বছর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার বিষয়ে সিরিয়াস হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এইচএসসি লেভেল জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এখান থেকেই মানুষের ভবিষ্যত জীবনে কে কি হবে তা চূড়ান্ত হয়ে যায়। সফলতা পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। শুধু ভালো ছাত্র হওয়াই শেষ কথা নয়, ভালো মানুষ ও চরিত্রবান হওয়া আরো বেশি দরকার।

তিনি পড়ালেখা ঠিক রেখে অন্যান্য সামাজিক কাজকর্ম করার পরামর্শ প্রদান করে তিনি বলেন আগে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে গড়তে হবে।

নতুন কলেজ হিসেবে এই সফলতা অর্জন এই কলেজেকে আর অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে মিরপুর সাইন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন রিপন বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে জ্ঞানীগুণি ব্যক্তিদের আগমন এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানকে সার্থক ও সফল করে তুলেছে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আসার জন তিনি অতিথিবৃন্দকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু জিপিএ ৫.০০ পেলেই হবেনা আগে ভালো মানুষ হতে হবে। এরপর চেষ্টা করতে হবে ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে বাবা মার স্বপ্ন পূরণ করা।

১ম ব্যাচের ২৫ জন শিক্ষার্থীর বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সফলতা আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কলেজ একদিন সারা দেশের মধ্যে সুনাম বয়ে আনবে। তিনি শিক্ষার্থীদের সবাইকে মিরপুর সাইন্স কলেজকে হৃদয়ে ধারণ করার জন্য আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর সাইন্স কলেজের উপদেষ্টা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ, শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মিরপুর সাইন্স কলেজের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মিরপুর সাইন্স কলেজের সভাপতি আলহাজ্ব বাবলু সরকার প্রমুখ।

মিরপুর সাইন্স কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম, ইশরাত জাহান ইমি, আয়শা আক্তার তন্দ্রা, রাকিবুল ইসলাম, ও ওয়ালিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কাজী তানভীর হাসান, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ফারহানা আকতার, জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইফতেখার আহমেদ ভুইয়া, তৌফিকুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদুল হক খোকন প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫.০০ (এ+) প্রাপ্ত ৫১ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ১ম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্ত ১৫ জন ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে (১ম ব্যাচ) থেকে ভর্তি পরীক্ষায় ২৫ জন (যারা বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে) শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

এছাড়া ৩ জন শিক্ষার্থীকে ১,০৫০০০/- (একলক্ষ পাঁচ হাজার) টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর