কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ (দৈনিক ৬ কোটি ২২ লাখ) মার্কিন ডলার। অক্টোবরের প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৬ কোটি ৭১ লাখ (দৈনিক ৬ কোটি ১৭ লাখ) মার্কিন ডলার। আর সেপ্টেম্বর মাসে এসেছিল ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ (দৈনিক ৪ কোটি ৪৮ লাখ) ডলার রেমিট্যান্স।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জনতা মেইলকে বলেন, আগামী মাসে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া বেশ কিছু উদ্যোগ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২২ অক্টোবর থেকে বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে পাঠালে প্রণোদনার সঙ্গে প্রবাসীদের বাড়তি আরও আড়াই শতাংশ বেশি অর্থ দেওয়ার নির্দেশনা কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ অর্থ বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম ২২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৭ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
এদিকে গত নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
নভেম্বরে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কাতার, ওমান ও বাহরাইন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এছাড়া সেপ্টেম্বর ও আগস্টে যথাক্রমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।