সরকারি খাতে গত কয়েক বছরে দুর্নীতির ব্যাপকতা বেড়েছে বলে দাবি করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, বাস্তবিক অর্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অঙ্গীকার কার্যকরভাবে প্রয়োগ হয়নি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ২০২৩ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় তৈরি ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)’ তুলে ধরে এ কথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গবেষণা অনুযায়ী ২৪টি পূর্ণ গণতান্ত্রিক, ৪৮টি ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক, ৩৬টি হাইব্রিড গণতান্ত্রিক ও ৫৯টি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের গড় সিপিআই স্কোর যথাক্রমে ৭৩, ৪৮, ৩৬ ও ২৯। অথচ বাংলাদেশের স্কোর ২৪।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ে দুর্নীতির ব্যাপকতা ঘনীভূত ও বিস্তৃত হয়েছে। সরকারি ক্রয় ও বিতরণ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে দুর্নীতির অসংখ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া অর্থ পাচারের আশঙ্কাজনক চিত্র উঠে এলেও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে কার্যকরতা দেখাতে পারেনি। বরং দুদকসহ বিভিন্ন জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব ব্যাপকতর হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মনজুর-ই-আলম, সমন্বয়ক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।