শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
26 C
Dhaka
Homeঅর্থনীতি ও বাণিজ্যচলতি বছর বারতে পারে আলুর দাম

চলতি বছর বারতে পারে আলুর দাম

প্রকাশ: মার্চ ২৮, ২০২৪ ৮:০৪

দেশের পচনশীল পণ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরবরাহ ঠিক রাখতে কোল্ড চেইন ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তারা বলেন, চলতি বছর প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকার বেশি দাম দিয়ে কিনে খেতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন ও সেভার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে এ বছর অন্তত ২০ শতাংশ আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর কোল্ড স্টোরেজে যেসব আলু সংরক্ষণ করা হয়েছিল সেগুলোর দাম ছিল ৮ থেকে ১২ টাকা কেজি। এবারে সেগুলোর দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, কৃত্রিম সংকট ও বাজার অস্থিরতার কারণে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা অন্তত ৩০ শতাংশ আলু আগেই মাঠ থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে করে বড় একটি সংকট তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের সুদ ১৩-১৪ শতাংশ। উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে আমরা প্রজেক্ট করলে সেটা লাভজনক করা মুশকিল হয়ে পড়বে। এ কারণে সরকার আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বা বিদেশ থেকে ফান্ড নিয়ে যদি আমাদের ৩-৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয় তাহলে আমরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, দেশের কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ৪টি করে চেম্বার রয়েছে। যেগুলো দুর্বলভাবে ব্যবসা করছে, সেগুলোর একটি বা দুটি চেম্বারকে বিশেষভাবে পেঁয়াজ বা অন্য পেরিশেবল কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য দরকার বিনিয়োগ, যে সহায়তাটুকু সরকারের কাজ থেকে আমরা চাই।

বক্তারা বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেই সংকট হয়, অথচ আমাদের পেঁয়াজ নষ্ট হয়। এর জন্য স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ দরকার। তরমুজ, আম, টমেটে, গাজরের জন্য কোল্ড স্টোরেজ দরকার। কারণ হাজার হাজার টন এসব খাদ্য পণ্য উৎপাদন করলেও তা একটা সময় মাঠেই নষ্ট হয়। এখানে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্টোরেজ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজগুলোতেও গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ হয়েছে। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও, রংপুরের মতো জায়গাগুলোতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। যে কারণে এ বছর বেশি দাম দিয়ে আলু খেতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর