রোববার (২৬ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন জানান, ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে ডিপজলের পক্ষে। তিনি ইজারার সব টাকাও পেমেন্ট করে দিয়েছেন। ফলে আপাতত গরুর হাট ডিপজলের।
তিনি আরও বলেন, আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চ রিটটি শুনে চেম্বার জজ আদালতের আদেশ বহাল থাকবে বলে জানান। একই সঙ্গে পরে শুনানির জন্য একটি বেঞ্চকে নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এ বছর কোরবানি ঈদে গাবতলী পশুর হাট ডিপজলের অধীনেই থাকবে।
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ডিপজল টেন্ডারে প্রথম হয়েছেন। প্রথম হওয়ার পরে যিনি দ্বিতীয় পজিশনে ছিলেন তিনি একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটটি আদালতের নজরে আনলে প্রথমে আট সপ্তাহের স্টে অর্ডার দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় পজিশনে থাকা ওই ব্যক্তি ফের আবেদন করেন। গত রোববার এ বিষয়ে শুনানির কথা থাকলেও রিটকারী আইনজীবী সময় চাওয়ায় আজ এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গাবতলী পশুর হাটের ইজারা দিতে (বাংলা ১৪৩১ সনের জন্য) গত ২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্পত্তি বিভাগ। দরপত্রে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তির মধ্যে ডিপজলের প্রস্তাবিত ইজারামূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর আগের ইজারাদার লুৎফর রহমান দর দিয়েছিলেন ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।
গত ৪ এপ্রিল ডিএনসিসির মেয়র ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলমের কাছে হাট ইজারা নিতে আবেদন করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা লুৎফর রহমান। আবেদনে তিনি ডিপজলের দেওয়া সর্বোচ্চ দরটাই পরিশোধ করে ইজারা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু করপোরেশন থেকে কোনো সাড়া পাননি তিনি।
পরে উচ্চ আদালতে হাটের ইজারা নিয়ে একটি রিট করেন লুৎফর রহমান। গত ২৩ এপ্রিল রিটের নিষ্পত্তি করেন আদালত।
রিটকারী বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি ও হাটের জন্য ব্যাংক পে-অর্ডারের সঙ্গে আবেদন নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল তিনি সিটি করপোরেশনে গিয়েছিলেন। মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা—কোনো দপ্তরেই তার আবেদনে সাড়া দেননি।