মঙ্গলবার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন।তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্রপতি গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) বলেছিলেন অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করবে। কিন্তু আমরা এখনো দেখছি একটি অভ্যুত্থানের পরও জাতীয় সংসদ রয়ে গেছে।
আমরা ঘোষণা করছি, দুপুর ৩টার মধ্যে এই জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি ঘোষণা করতে হবে। যদি ৩টার মধ্যে এই ঘোষণা না আসে তবে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।
এর আগে সোমবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি জানান, যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।
তারও আগে কোটা আন্দোলনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়।
একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
এদিকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর সোয়া ৪টায় এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।
তারা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার আহ্বানে এ দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা সকালের মধ্যেই এ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।
আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে যে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক।
সমন্বয়করা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকিদের নাম সকালের মধ্যে আমরা ঘোষণা করব। এ সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে।
প্রসঙ্গত, বৈসম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। খবরে সারা দেশে আনন্দ উল্লাসে মাতেন সাধারণ জনসাধারণ।
সংসদ ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে আলটিমেটাম
বর্তমান জাতীয় সংসদ আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার মধ্যে বিলুপ্ত করতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্রপতি গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) বলেছিলেন অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করবে। কিন্তু আমরা এখনো দেখছি একটি অভ্যুত্থানের পরও জাতীয় সংসদ রয়ে গেছে। তাই আমরা ঘোষণা করছি, দুপুর ৩টার মধ্যে এই জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি ঘোষণা করতে হবে। যদি ৩টার মধ্যে এই ঘোষণা না আসে তবে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।
এর আগে সোমবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি জানান, যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।
তারও আগে কোটা আন্দোলনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়।
একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
এদিকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর সোয়া ৪টায় এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।
তারা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার আহ্বানে এ দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা সকালের মধ্যেই এ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।
আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে যে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক।
সমন্বয়করা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকিদের নাম সকালের মধ্যে আমরা ঘোষণা করব। এ সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে।
প্রসঙ্গত, বৈসম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। খবরে সারা দেশে আনন্দ উল্লাসে মাতেন সাধারণ জনসাধারণ।