বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহা দিবা ছন্দার আদালতে মামলার আবেদন করেন মো. আবুল কামাল নামে এক ব্যক্তি।আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক সেতু ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন-অর-রশীদ, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. লিটন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমগ্র বাংলাদেশে অগনিত ছাত্র ও সাধারণ জনতা পুলিশের গুলিতে হতাহত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে ভিকটিম তার পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার আনতে গিয়ে ঘটনাস্থল শেরেবাংলা নগর থানার সামনে পশ্চিম আগারগাঁও চৌরাস্তায় ওঠার সময় হঠাৎ ভিকটিম শাহাবুদ্দিনের মাথায় পুলিশের ছোঁড়াতে গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর ঘটনাস্থলের রাস্তায় ভিকটিম লুটিয়ে পড়লে। ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে (এন আই এন এস) নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থানার দারুননাজাত ইসলামিয়া মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জোবাইদ হোসেন ইমন হত্যার ঘটনায় সাবেক শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন ইমনের মামা আব্দুল্লা আবু সাইদ ভূঁইয়া। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।