দীর্ঘ ১১ বছর দায়িত্ব পালনের পর আজ (১১ সেপ্টেম্বর) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের পদত্যাগের কারণ জানা না যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ব্যক্তিগত কারণে বিসিবির পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন তিনি।
২০১৩ সালে গাজী আশরাফ হোসেনকে হারিয়ে বিসিবির পরিচালকের পদে নির্বাচিত হন মাহমুদ। বোর্ডে তার দীর্ঘ কার্যকালে, বিশেষ করে গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে, তার সময়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জেতে। এছাড়া, জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর, অন্তর্বর্তীকালীন কোচ এবং ম্যানেজার হিসেবেও বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন তিনি।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবিতে পরিবর্তনের ধারা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর আগে বিসিবির আরও কয়েকজন প্রভাবশালী পরিচালক, যেমন জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নাইমুর রহমান দুর্জয় পদত্যাগ করেন। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তবে পরিচালক পদে এখনও বহাল আছেন।
এদিকে, বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।