সোমবার (০৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।বৈঠকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নিলেও মাওলানা জুবায়েরের প্রতিনিধিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পূর্বের ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ইজতেমার জন্য দুইটি স্লট নির্ধারণ করা হয়েছে। তাবলীগ জামায়াতের আলেমদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আবার আলোচনা হবে। আমরা আলেমদের মধ্যে কোনো বিভেদ চাই না।
সভায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ, মাঠ হস্তান্তর, মাঠ প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রম তদারকি সংক্রান্ত কমিটি গঠন, বিদেশি মেহমানদের ভিসা প্রদান, ভিভিআইপিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সার্বিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, কন্ট্রোল রুম স্থাপন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেন-বাস সার্ভিস, পল্টুন ও ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ, জরুরি দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুসল্লিদের প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা প্রদান, অস্থায়ী দোকানপাট ব্যবস্থাপনা, বস্তি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ইজতেমাস্থলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রয় মনিটরিং, মাইক সম্প্রসারণ, ইজতেমাস্থলে যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণকে অবহিতকরণ, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ, টঙ্গীতে অনুষ্ঠেয় ফলোআপ সভার তারিখ নির্ধারণ, বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ পড়ানোসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ, মাঠ প্রস্তুতিকরণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রমুখ।