সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। এদিকে জেলায় চলতি মাসেই ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।জানা যায়, মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এ ছাড়া ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়ক পথে।এ ছাড়া দিনের বেলা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধার পর থেকে তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন জেলার স্থানীয় ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের গোলজার হোসেন বলেন, ‘কয়দিন থেকে খুব শীত ও কুয়াশা। সকালে ঠান্ডার কারণে কাজে করা যায় না। আমরা বয়স্ক মানুষগুলো খুব সমস্যায় পড়ছি। কয়েকদিনের তুলনায় আজ খুব কুয়াশা পড়ছে।’
অটোরিকশার চালক নয়ন বলেন, ‘সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। বেশিদূর দেখা যায় না। দিন যতই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা ততই বাড়ছে।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসেই ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’