বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫
33 C
Dhaka
Homeবাংলাদেশদুর্নীতি মামলার আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে

দুর্নীতি মামলার আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ১১:৪০
প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ৮:৩৭

দুর্নীতি মামলার আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির অনেক আসামি বিদেশে। অনেক বড় অভিযুক্তরা বিদেশে আছেন। তাদের আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে, চর বাউশিয়া এলাকার, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত, “ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (ইএসসিবি)” এ দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয়নীতি বিষয়ে ১৫ দিনব্যাপী আবাসিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ এর প্রকিউরমেন্ট বিভাগের প্রধান ড. তাওহীদ হাসান।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা যে সব বড় বড় দুর্নীতির কথা বলি। আমরা যদি ক্রয় সম্পর্কে সচেতন থাকি, বাজারমূল্য সম্পর্কে সচেতন থাকি এবং যে জিনিসটা ক্রয় করছি সে জিনিসটা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে সচেতন থাকি তাহলে দুর্নীতি লাঘব করা অনেকাংশেই সম্ভব।’

উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুদুক মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) মোঃ আক্তার হোসেন, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) এর প্রেসিডেন্ট, প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু), ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, তানভির-উল হাসান তমাল, সম্মানী সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ওসমানী সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। আইইবি এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু) বলেন ইএসসিবি বাংলাদেশের একটি উত্তম প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এখানে দুদুক কর্মকর্তাগণ ক্রয়নীতি নিয়ে ফলপ্রসূ প্রশিক্ষণ পাবেন। দুদুক মহাপরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মেডিক্যাল সেক্টরে কিছুদিন আগেও ঠিকাদার ঠিক করতো মেডিক্যালে কী কী ইকুইপমেন্ট ক্রয় করতে হবে। হাসপাতালে গিয়ে বাধ্য করতো সেগুলো সই করতে। সই হয়ে ঢাকায় আসতো এবং সেই অনুযায়ী মালামাল সাপ্লাই করা হতো। সেই ইকুইপমেন্ট দিয়ে অপারেশনই করা যাচ্ছে না, অধিকাংশই অকেজো। তাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে দুদক কর্মকর্তাদের। “অপারেশন ডেভিল হান্ট” সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি সরকারি প্রোগ্রাম। দুদক-সম্পর্কিত নয়। তবে এর যদি কিছু বেনিফিট থাকে দুদক সেই বেনিফিট অবশ্যই পাবে।’উল্লেখ্য, কর্মশালায় দুদকের বিভিন্ন পর্যায়ের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইএসসিবি এর ফ্যাকাল্ট ট্রেইনার ও কোর্সটির কো-অর্ডিনেটর ড. তাওহীদ হাসান।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর