বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫
33 C
Dhaka
Homeশিক্ষাসম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশের শুরু জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে : ড. আলী রিয়াজ

সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশের শুরু জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে : ড. আলী রিয়াজ

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫ ৫:২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর ড. আলী রিয়াজ বলেছেন, যুগের পর যুগ ধরে দেশে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছিল, সেটা আমরা কয়েক মাসে ঠিক করে দেব এটা ভাবার সুযোগ নেই। তবে নব্বইয়ের আন্দোলন বলে দিয়েছিল আপনারা পারবেন, চব্বিশের আন্দোলন বলে দিচ্ছে আপনারা পারেন। অনেকে বলেছিল বাংলাদেশ টিকবে না। দেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আইপিএম অ্যাক্টিভিটি ও বাকৃবির গবেষণায় সাফল্য
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. আলী রিয়াজ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমরা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। মেধা, পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার কারণে সবাইকে এখানে নিয়ে আসছে। অন্যদের সহযোগিতা ছাড়া এককভাবে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করতে হবে পর্দার অন্তরালের লোকদের। যাদের অবদানের কারণে এখানে আসছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনি যদি স্বীকার করতে না পারেন তাহলে ব্যক্তির সাফল্যের উদ্‌যাপন হবে। দেশের জন্য কোনো কাজে আসবে না।

তিনি আরও বলেন, যদি অগ্রসর হতে চাই তাহলে সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হতে। আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। মেধা, শ্রম ও জ্ঞানের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিযোগিতাই অনুপ্রাণিত করবে জ্ঞান অর্জনে। যে জ্ঞান কেবলমাত্র একক চিন্তায় আবদ্ধ করে সে জ্ঞান রাষ্ট্র চিন্তায় কোনো কাজে আসে না।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, নতুন নতুন জ্ঞান সংযুক্ত করতে হবে। নতুন কোনো চিন্তার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবেন যেটি দেশের পরিবেশ চায় কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে। পরিবেশকে রক্ষা করে না এমন বিজ্ঞান প্রযুক্তি মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়। প্রাণ ও প্রকৃতিকে রক্ষা না করতে পারলে বাংলাদেশ রক্ষা হবে না।

একে অপরের প্রতি সহমর্মিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে যে জ্ঞানের চর্চা করবে সেটার সহমর্মিতা থাকতে হবে। সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সহমর্মিতাবোধ থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হলো মুক্তচিন্তার শিক্ষা। আপনারা জ্ঞানের চর্চা করবেন। সেটা যেভাবেই হোক। পত্রিকার খবর পড়বেন, আর্টিকেল পড়বেন, সবই জ্ঞান চার্চার মাধ্যম। সমাজের সবার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যিনি কোনো মহাবিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি তাদের থেকেও শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত শহীদদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে নিহত শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. এসএম আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আকন্দ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ, রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর