রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল নয়টা ৩৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ নিয়ে সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে চারবার সারাদেশ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল।
ইউরোপীয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৫।
তবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানায় রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬। আর লক্ষীপুরেই রামগঞ্জ থেকেই এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে পুরো ঢাকা কেঁপে ওঠে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
ভূমিকম্পের পর অনেকে ফোন করে স্বজনদের খবর নিতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে ভূমিকম্পের খবর জানান। তবে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন জেলা থেকে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।
ঠিক এক মাস আগে গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সর্বশেষ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪। সেদিন বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভূটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছিল কম্পন।
তার আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছিল ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইলে।
তারও আগেও গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীসহ সারাদেশে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।