আন্তর্জাতিক বাজারে আরও কমেছে সয়াবিনের দাম। এতে ভোজ্যতেল তৈরির মূল উপকরণটির মূল্য গত ২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) তেলবীজটির দর আরেক দফা হ্রাস পেয়েছে। বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনের বরাত এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেলবীজটির শীর্ষ উৎপাদক দেশ ব্রাজিলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সয়াবিনের উৎপাদন বেড়ছে। এতে বিশ্ববাজারে সরবরাহ বাড়ায় সয়াবিনের দরপতন ঘটেছে। সিবিওটিতে সবচেয়ে সক্রিয় সয়াবিনের চুক্তি মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে সিবিওটিতে সবচেয়ে সক্রিয় সয়াবিনের চুক্তি মূল্য হ্রাস পেয়েছে। প্রতি বুশেলের দাম স্থির হয়েছে ১২ ডলার ৯৮ সেন্টে। গত ৭ ডিসেম্বরের পর যা সর্বনিম্ন। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে তেলবীজটির দর নিম্নমুখী হয়েছে ১ শতাংশেরও বেশি। যদিও এর আগে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ব্রাজিলে সয়াবিনের উৎপাদনের পূর্বাভাস কমিয়েছিল রাবো ব্যাংক। প্রথমে ২০২৩/২৪ অর্থবছরে ১৬৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপন্নের আভাস দিয়েছিল তারা। তবে পরে সেটার পরিমাণ কমিয়ে ১৫৮ মিলিয়ন মেট্রিক টনে নামিয়ে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সময়মতো বৃষ্টিপাতে দেশটির মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণ ফসল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। ফলে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সয়াবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্বের আরেক বৃহৎ উৎপাদক আর্জেন্টিনাতেও পরিমিত বৃষ্টি হয়েছে। এতে দেশটিতেও সয়াবিন চাষ বেগবান হয়েছে। ফলে সেখানেও উৎপাদন বাড়বে বলে আশা জেগেছে।
স্টোনেক্স বিশ্লেষক আরলান সুদেরম্যান বলেন, আর্জেন্টিনায় সয়াবিন দ্বিগুণ উৎপন্ন হয়ে বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে। এছাড়া প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতেও উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। এমনটি হলে দেশগুলো থেকে বৈশ্বিক বাজারে সয়াবিনের রপ্তানি বাড়বে। এই ইঙ্গিতে তেলবীজটির দাম চাপে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দর হ্রাস পেয়েছে।