শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আমরা শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করছি এবং আগামীতেও করে যাবো। জনগনের অর্থ, আমাদের জাতির প্রয়োজনে আমরা শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করছি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য ভবন লনে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মন্ত্রী। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য এই বিনিয়োগকে ছোট করে দেখা যাবে না। আজকে আমাদের প্রফেসর ও ইমেরিটাস যারা এখানে এসেছেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে, আমাদের শিক্ষা অঙ্গণের গুরু হিসেবে আপনারা আমাদের পথ দেখাবেন। শিক্ষা অঙ্গণে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় আপনারা আমাদের পরামর্শ দিবেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্ব। পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যাবে না যা একটি রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি অঙ্গনে অবদান রাখছে। সমাজের সবক্ষেত্রে যেভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবদান রাখছে তা আর অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারছে কি না আমার জানা নেই। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীরা এখানে এসেছেন। স্বায়ত্তশাসিত এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাবিদদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আমাদের রাজনৈতিক যে অঙ্গীকার, তা ফলপ্রসূ করতে আপনারা কাজ করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।