আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বলে জানিয়েছেন উত্তর হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৯০টি জায়গায় ১৪২৭টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই তথ্য দেন তিনি। উত্তর হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতরে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
শাহাবুদ্দিন খান বলেন, দুই-এক মাসের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষে হবে। ক্যামেরাগুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) রয়েছে এবং একটি নেটওয়ার্কের আওতায় এগুলো পরিচালিত হবে। প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করতে পারেন।
মহাসড়কটি ক্যামেরার আওতায় এলে ভালো পুলিশিংয়ের পাশাপাশি মহাসড়কও নিরাপদ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উত্তর হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি তিনি।
জনবল ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে পুলিশের শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ৩৬টি হাইওয়ে থানা ও ৩৭টি ফাঁড়ি অর্থাৎ মোট ৭৩টি থানাও ফাঁড়ি রয়েছে। আর জনবল রয়েছে ২৮৬১ জন।
আরও ৭ হাজার জনবল চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে শাহাবুদ্দিন খান বলেন, আরও প্রায় সমান সংখ্যক (৭৬) হাইওয়ে থানা বা ফাঁড়ি গঠনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার হাইওয়ে রয়েছে। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ দেখছে মাত্র ৩ হাজার কিলোমিটার সড়ক। বাকি সড়ক জেলা পুলিশ বা মেট্রোপলিটন পুলিশ দেখছে। প্রস্তাবিত জনবল পেলে ৯ হাজার কিলোমিটার দেখতে পারবে হাইওয়ে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, হাইওয়েতে কোন খারাপ ঘটনার আঙ্গুল কিন্তু হাইওয়ে পুলিশের দিকে দিতে থাকে জনগণ। কিন্তু এটা জানে না যে ওই খারাপ কাজটি আমাদের আওতায় ঘটেনি।
সাক্ষাতে ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ক্র্যাব সদস্যদের নানা দিক তুলে ধরেন এবং সামনের কর্মপরিকল্পনার বিষয় নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে হাওয়ের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ক্র্যাবের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।