ভারী অস্ত্র নিয়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আরেকটি দল বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন দলটির হাতে জাহাজটি বুঝিয়ে দিয়ে আগের দলটি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সোমালিয়ান সময় দুপুর ১টার দিকে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জিম্মি নাবিক এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, জাহাজটি এই মুহূর্তে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে নোঙর করা আছে। নোঙর করার পর ১৯ জনের একটি নতুন দল জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। অন্যদিকে জাহাজ হাইজ্যাকে নেতৃত্ব দেওয়া ৫০ জনের বেশি সংখ্যার দলটি জাহাজ ছেড়ে যায়।
জিম্মি নাবিক বলেন, এখন যেসব দস্যুদল জাহাজটির দায়িত্ব নিয়েছে ওদের সবার হাতে ভারী অস্ত্র রয়েছে। তবে তারা নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। রাতে সেহেরি দিয়েছিল, আশা করা যাচ্ছে ইফতারও দেবে।
বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকরা আশা করছেন, এই পর্যায়ে দস্যুরা হয়তো জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাই দেশের গণমাধ্যমকে কোনো অতি উৎসাহী নিউজ না করার অনুরোধ জানান এই নাবিক।
এদিকে উদ্ধার করতে আসা জাহাজটি বুধবার বিকেল থেকে বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আরব আমিরাত বা অন্য কোনো আরব দেশের হবে এটি। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের উদ্ধারে ওই জাহাজটি অভিযান চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তবে দস্যুরা জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিলে উদ্ধারকারী জাহাজটি পিছিয়ে যায়।
এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।