সোমবার (২৭ মে) থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত বন বিভাগের বিভিন্ন চর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে বনরক্ষীরা। এসময় আহত অবস্থায় ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর উদ্ধার করা হয়। পরে এসব প্রাণী বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) ও বুধবার (২৯ মে) দুই দিনে মোট ৩৯টি হরিণ এবং ১টি শূকরের মরদেহ উদ্ধার করেছিল বন বিভাগ।খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের পানিতে বনের বেশিরভাগ অংশ প্লাবিত হয়েছে। মিষ্টি পানির পুকুরগুলো সব লবন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের পরে বনের কটকা, কচিখালী , করমজল ,পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলারচর ও নারিকেলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হরিণের ৯৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চারটি বন্য শূকরের মরদেহও পাওয়া গেছে। এসব মরদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮টি জীবিত হরিণ এবং একটি জীবিত অজগর সাপ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।