গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সরকারের অন্যান্য অংশের সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না গান্তজের।সম্প্রতি গাজায় আগামী ৮ জুনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেন বেনি গান্তজ। দাবি না মানা হলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবের বলে হুমকিও দেন তিনি।
ওই আল্টিমেটামের পর এবার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের দাবি জানালেন এই মন্ত্রী। সাবেক সেনা কর্মকর্তা গান্তজ নেতানিয়াহুর বিরোধী রাজনীতি করেন। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পরই গ্যান্তজ নেতানিয়াহুর সরকারে যোগ দেন।
গ্যান্তজের মধ্যপন্থী দল গত মার্চ মাসে বিভক্ত হয়ে যায় এবং এর ফলে ক্ষমতাসীন জোটকে উৎখাত করার জন্য সংসদে তাদের পর্যাপ্ত আসন নেই।
নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির পক্ষ থেকে গান্তজের সর্বশেষ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ইসরাইলের এখন একতা দরকার এবং সরকার ভেঙে দিলে তা যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ক্লান্তি চলে এসেছে দেশটির রাজনীতিকদেরও। কিন্তু একতরফা এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে গো ধরে বসে আছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু নেতানিয়াহুর ওপর বিরক্ত তারই মন্ত্রী বেনি গান্তজ।
সাত মাস ধরে হামলা চালিয়ে গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু তারপরও এই যুদ্ধ যেন শেষই হচ্ছে না। আর এই যুদ্ধে যে ইসরাইল জিতবে না, তা দেশটির পত্রপত্রিকা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের কথায় ওঠে এসেছে। তাহলে কীসের আশায় যুদ্ধ চালাচ্ছেন নেতানিয়াহু।
বলা হচ্ছে, ক্ষমতা হারালে কারাবন্দি হতে পারেন নেতানিয়াহু, তাই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান তিনি। নেতানিয়াহুর এমন গোয়ার্তুমির কারণে ক্ষেপে গেছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গান্তজ। তার বিশ্বাস, কিছু ইসরাইলি নেতার কাপুরুষতার কারণে যুদ্ধের গতিপথ থেকে সরে যাচ্ছে ইসরাইল।
গান্তজ গত সপ্তাহে বলেন, সম্মুখযুদ্ধে অবিশ্বাস্য সাহসিকতা দেখাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা কিন্তু তাদের যুদ্ধে পাঠানো কিছু ব্যক্তি কাপুরুষের মতো আচরণ করছে এবং দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
গান্তজের অভিযোগ, কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। তাই নেতানিয়াহুকে আগামী ৮ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তিনি। আর না হলে পদত্যাগ করবেন তিনি।