শনিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটকে সাহসী, গণমুখী ও জনবান্ধন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংকটকালে এই বাজেট পরিমিত, বাস্তবসম্মত, গণমুখী এবং সাহসী বাজেট। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গতিপূর্ণ বাজেট হয়েছে।’
তিনি বলেন,
আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ সংকটকালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ এখন ডালে-ভাতে নয়, পুষ্টি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
কিন্তু অর্থনীতিবিদরা পোলারাইজড হয়ে গেছেন, তারা এখন বিএনপিপন্থি অর্থনীতিবিদ হয়ে গেছেন’, যোগ করেন কাদের।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দুর্নীতিতে তারা পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তারা বলছেন, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবেন। যাদের নেতারা দুর্নীতিবাজ তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবেন, এটা এই বছরের সেরা জোক।
ওবায়দুল কাদের বলেন,
আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, সুদের হার বেড়ে যাওয়া, টাকার দাম কমে যাওয়াসহ নানা কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। তবে এবারের বাজেট বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট। এই বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমবে।
‘বাজেটের একটাই চ্যালেঞ্জ, তা বাস্তবায়ন করা। আর তা বাস্তবায়নে সরকার এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সংকট মোকাবিলা করার জন্য আমরা কাজ করছি। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে’, যোগ করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ উন্নয়নে অর্জনে আকাশ পাতাল পার্থক্য। বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে, কালোটাকার কথা বলে, দেশকে গিলে খাওয়ার কথা বলা, তাদের সবশেষ বাজেট ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তাদের অর্থমন্ত্রী বাজেটের আগে বিদেশে গিয়ে ভিক্ষা চেয়েছিলেন। আমাদের কোনো অর্থমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে ভিক্ষা চাননি।