আজ রোববার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।সারা দেশে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর হবে।
কারফিউ জারির পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্বাহী আদেশে এই ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটির শর্তগুলো আগের ছুটির মতোই। সাধারণ ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।
এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরাও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।
জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলোও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। অন্যদিকে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেবে, যা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এর আগে সরকার গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে। ওই সময় প্রথমে দুইদিন (২১ ও ২২ জুলাই) সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে তা বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে কয়েক দিন সীমিত সময়সূচিতে অফিস চলে। তারপর ৩১ জুলাই থেকে স্বাভাবিক সময়সূচিতে অফিস শুরু করা হয়েছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩ আগস্ট (শনিবার) সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে। তাঁরা আজ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এ নিয়ে আজ রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় কারফিউ জারির পর টানা তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলো।