আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে পলক তাঁর ব্যক্তিগত দুজন কর্মকর্তাকে নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। তবে তাঁকে বিমানে উঠতে না দিয়ে ইমিগ্রেশন হেফাজতে রাখা হয়।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, পলকের দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নেপালে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁদেরও ফেরত পাঠানো হয়।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার তাঁর সরকারের পতন ঘটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নেতাদের মারধর, হত্যা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা এখন আত্মগোপনে। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পেরেছেন। এর মধ্যে বিমানবন্দরে পলককে আটকে দেওয়ার খবর এল।
২০০৮ সালে নাটোর-৩ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পলক। এরপর থেকে তিনবার তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তাঁকে ডাক ও টেলিযোগাযোগের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের সময় বারবার ইন্টারনেট বন্ধ এবং তা নিয়ে নানা মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন পলক।
২ আগস্ট নাটোরের সিংড়ায় এক শোকসভায় পলক বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি।’