রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ১ জুলাই ২০২৪ হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ সরকার কেমন হবে—সে বিষয়ে প্রস্তাবনা দেবেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এরপরই চূড়ান্ত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে মতামত নেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এরপর সন্ধ্যায় সেনাপ্রধান ও বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টা বা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রসহ জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান চলমান ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জন্য শোক প্রস্তাব করলে সঙ্গে সঙ্গে বৈঠকে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস, জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, শেখ মো. মাসুদ, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে রাব্বি, জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, মজিবুল হক চুন্নু ও আনিসুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, হেফাজতে ইসলামের মামুনুল হক, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাহবুবুর রহমান, জাকের পার্টির শামিম হায়দার, খেলাফত মজলিসের জালাল উদ্দীন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, গণ-অধিকার পরিষদের গোলাম সারওয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ফিরোজ আহমদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আরিফ তালুকদার, ওমর ফারুক, মোবাশ্বেরা করিম এবং ইঞ্জিনিয়ার আনিছুর রহমান।