বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া অন্য যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন, তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেনসহ মোট ১০ জন।
দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে বস্তায় বস্তায় ঘুষ নিয়েছেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এ জন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়। ঘটনা অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে দুদক।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী, পরিবার ও মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউর পক্ষ থেকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান খান, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান এবং মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক হিসাব বন্ধ থাকবে।
চিঠিতে আসাদুজ্জামান খান, তার পরিবারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না সংশ্লিষ্টরা। প্রয়োজনে জব্দ রাখার সময় আরও বাড়ানো হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।