অন্তর্বর্তী সরকারের পরিধি আরও বাড়ছে। নতুন করে আরও পাঁচ সদস্য উপদেষ্টা হিসেবে সরকারে যুক্ত হতে যাচ্ছেন। ফলে সব মিলিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা বেড়ে ২২ জন হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার করা হলেও এর পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার আরও কয়েকজন উপদেষ্টা যুক্ত হতে যাচ্ছেন। এ সংখ্যা হতে পারে পাঁচজন। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রাষ্ট্রপতির দৈনিক কর্মসূচি অনুসারে, আগামীকাল বিকাল ৪টার বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়।
তার আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এরপর বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, গত কয়েকদিনে দেশের মধ্যে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো ষড়যন্ত্র। এটাকে রোধ করতে হবে। তাদের লাঠিপেটা করলে হবে না। সহিংসতাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। কোনো প্রকার প্রতিহিংসামূলক কাজ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারো ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকব না।
নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়করা) দেশকে রক্ষা করেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না। তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।