সোমবার (১৯ আগস্ট) উপজেলার বিভিন্ন আমন জমি ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের হালকা ও ভারি বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে পানি জমেছে। যারা আউশ আবাদ করেননি তারা আমন আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বীজতলা থেকে ধানের চারা তোলা, পানি জমা জমিকে রোপণ উপযোগী করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ কেউ বৃষ্টির সুফলকে কাজে লাগিয়ে রীতিমতো জমিতে ধানের চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলার আট ইউনিয়নে ৫ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে এবং ভালো ফলনের উদ্দেশে প্রান্তিক কৃষকদের নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ ছাড়াও এ উপজেলার বেশ সংখ্যক প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে উন্নত জাতের বীজ এবং সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার কৃষক আবদুল জলিল বলেন, আমি আউশ আবাদ করিনি। জমিতে পানির অভাবে এতদিন আমন আবাদও করতে পারিনি। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমিতে আশানুরূপ পানি জমেছে। তাই জমিতে আমন আবাদ করতে এখন আমরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। এ বছর আমি ৭৯ শতক জমিতে আমন আবাদ করব। কিছু কিছু জমিতে রীতিমতো ধানের চারা রোপণ করেছি। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের কবলে না পড়লে আশা করছি এ বছর ভালো ফলন পাব।
উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের কান্দুঘর এলাকার কৃষক মোতাহার হোসেন বলেন, এবার কিছু জমিতে আউশ আবাদ করেছি, আর বাকি জমিগুলো আগাম আমন আবাদের জন্য খালি রেখেছিলাম। কিন্তু যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারিনি। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এসব জমি আবাদ উপযোগী হয়ে উঠেছে। তাই এসব জমি প্রস্তুত করতে এবং আমন ধানের চারা রোপণ করছি।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ উপজেলায় কৃষককে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষ কিছুটা ব্যাহত হলেও এই কয়দিনের বৃষ্টি আমন চাষিদের জন্য উপকারে এসেছে। তবে এখনো পুরোদমে আমন আবাদ শুরু হয়নি। আউশ ধান কাটার পর পুরোদমে আমন আবাদ শুরু হবে। এবারও ভালো ফলনের উদ্দেশে প্রান্তিক কৃষকদের আমন চাষে মনোযোগী হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা কৃষকদের সার্বিকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।